Fire Safety

 বিষয়

  • আগুন কি ?
  • আগুনের শ্রেণী বিভাগ
  • আগুন নির্বাপন পদ্ধতি ও মাধ্যম
  • তাপ বিস্তার পদ্ধতি
  • অগ্নিকান্ডের কারন ও প্রতিকার
  • আগুন লাগলে করনীয়

 

আগুন

আগুন হচ্ছে দাহ্যবস্তু, অক্সিজেন ও তাপ এ তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত বিরতিহীন রাসায়নিক বিক্রিয়া – যা তাপ, আলো, শিখা ও ধোঁয়া নির্গত করে।

আগুনের শ্রেণী

“এ” শ্রেণী            সাধারণ দাহ্য

“বি” শ্রেণী            তরল পদার্থ

“সি” শ্রেণী           গ্যাসীয় পদার্থ

“ডি” শ্রেণী           ধাতব পদার্থ

 

এ” শ্রেণী    

  • কাঠ
  • কাগজ
  • কাপড়
  • রাবার
  • প্লাস্টিক
  • অন্যান্য

 

বি” শ্রেণী       

  • তৈল
  • গ্যাসোলিন
  • গ্রীজ
  • তারপিন
  • পেইন্ট
  • অন্যান্য

 

সি” শ্রেণী   

ফ্লামেবল গ্যাস

যেমন ঃ

  • মিথেন
  • প্রোপেন
  • ইথেন
  • হাইড্রোজেন ইত্যাদি

 

ডি” শ্রেণী          

  • মেগনেসিয়াম
  • সোডিয়াম
  • পটাসিয়াম
  • টিটানিয়াম
  • ইত্যাদি

 

বিশেষ শ্রেণী

  • ই – শ্রেণী বৈদ্যুতিক মোটরস, ট্রান্সফরমারস ইত্যাদি
  • কে/এফ – শ্রেণী কুকিং ওয়েল

 

আগুন নির্বাপন পদ্ধতি

কুলিং

তাপ অপসারণ বা হ্রাস করন

(পানি হলো উত্তম কুলিং মিডিয়া)

 

 

স্মোদারিং

অক্সিজেন % হ্রাস, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করা

(বø্যাংকেটিং,  ফোম ব্যবহার)

 

স্টারভেশন

জ্বালানী  অপসারণ বা দাহ্য পদার্থ অপসারণ

 

আগুন নির্বাপন মাধ্যম

 শ্রেণী                 দাহ্য পদার্থ                          নির্বাপন পদ্ধতি              নির্বাপন মাধ্যম

এ” শ্রেণী     কাঠ কাগজ কাপড় অন্যান্য   কুলিং স্মোদারিং              পানি, ফোম,  ডিসিপি, বালি

বি” শ্রেণী    তৈল গ্যাসোলিন গ্রীজ             স্টারভেশন   স্মোদারিং    ফোম, ডিসিপি, সিওটু, বালি

সি” শ্রেণী    মিথেন প্রোপেন                      স্টারভেশন   স্মোদারিং     ডিসিপি, সিওটু

ডি” শ্রেণী   মেগনেসিয়াম সোডিয়াম          স্মোদারিং                          স্পেশাল টাইপ ডিসিপি

ই – শ্রেণী       বৈদ্যুতিক মোটরস, ট্রান্সফরমারস    স্মোদারিং   স্টারভেশন                    সিওটু, ডিসিপি

কে/এফ – শ্রেণী  কুকিং ওয়েল                          স্মোদারিং                     কে টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইসার

 

 

আগুন /তাপ বিস্তার

 

RACE

R = তাৎক্ষণিক বিপদ এলাকা থেকে নিকটতম সমাবেশ পয়েন্টে সমস্ত লোককে উদ্ধার ও সরান।

A = নিকটতম ম্যানুয়াল ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় করুন ।

C = আপনি এলাকা থেকে প্রস্থান করার সময় আপনার এবং আগুন বা ধোঁয়ার মধ্যে দরজা বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করুন।

E = আগুন নিভিয়ে ফেলুন যদি তা করা নিরাপদ হয়। অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেবেন না।

 

আগুনের সতর্কতা

  • দ্রæত নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না।
  • আপনার সঠিক সরঞ্জাম না থাকলে আগুনের সাথে লড়াই করবেন না।
  • ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সম্ভাবনা থাকলে আগুনের সাথে লড়াই করবেন না।
  • আপনি যদি প্রবৃত্তি “না” হন তবে আগুনের সাথে লড়াই করবেন না।

 

 

অগ্নিকান্ডের প্রধান কারণসমূহ

  • প্রাকৃতিক
  • দুর্ঘটনাবশতঃ
  • ইচ্ছাকৃত
  • অজ্ঞাত

 

অগ্নিকান্ডের কারণ ও প্রতিরোধ

  • চুলার আগুন
  • বৈদ্যুতিক
  • মোমবাতি/ মশার কয়েল
  • বিড়ি/ সিগারেট
  • শিশুদের আগুন নিয়ে খেলা
  • আতশ বাজি
  • বজ্রপাত
  • ওভারহীট/ঘর্ষণ
  • ওয়েলডিং/ কাটিং
  • ইচ্ছাকৃত

 

 আগুন লাগলে করণীয়

  • আগুন দেখা মাত্র ‘আগুন’ ‘আগুন’ ‘আগুন’ বলে চিৎকার করুন এবং ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেওয়া
  • আপনার নিকটতম ফায়ার এলার্ম (পুল স্টেশন/ কল পয়েন্ট) একটিভেট করুন
  • ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রন/নির্বাপন করুন
  • আগুন লাগার সংকেত পাওয়া মাত্র ভবন থেকে নিরাপদে বাহির হয়ে আসুন।
  • যদি বাহির হওয়ার পথে ধোঁয়া থাকে তবে কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে মাথা নিচু করে হামাগুড়ি দিয়ে নিকটতম পথ দিয়ে বাহির হউন।
  • ধোঁয়া বা আগুনের কারনে যদি আপনি ভবন থেকে নিরাপদে বাহির হতে না পারেন তবে দরজা-জানালা বন্ধ করে রুমের ভিতর অবস্থান করুন। সহায়তার জন্য ফায়ার সার্ভিস কে সংবাদ দিন এবং অপেক্ষা করুন। সম্ভব হলে জানালা দিয়ে রঙিন কাপড় নেড়ে মনোযোগ আকর্ষন করুন।
  • ঘরে অবস্থান কালীন দরজা খোলার পূর্বে আগুনের বিপদ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দরজার তাপ অনূভব করুন।
  • ভবন থেকে বাহির হওয়ার পর এসেম্বলী এরিয়ায় রিপোর্ট করুন। ফায়ার সার্ভিস বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলীর জন্য অপেক্ষা করুন।

 

শরীরে আগুন লাগলে করণীয়

  • দাড়াও
  • মাটিতে পড়া
  • গড়াগড়ি দেওয়া

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ